একদা এক রাজা রাজ্যের সকল যুবককে ডাকলেন তার দরবারে।রাজা সকল যুবককে উদ্দেশ্য করে বললেন...
"আমি একজন সাহসী ও পরিশ্রমী যুবক চাই, যার সাথে আমার মেয়েকে বিবাহ দিব।"
রাজার মেয়ে ছিলেন নিখুঁত সুন্দরী। যেকোনো যুবক রাজকন্যাকে পাবার জন্য পাগল হবেই।
সবাই বলল..." আমি সাহসী, আমি পরিশ্রমী.."
-
রাজা চিন্তায় পড়ে গেলেন! ভেবে চিন্তে ঘোষনা করলেন "আগামীকাল তোমাদের সকলের পরীক্ষা নেয়া হবে। যে পরীক্ষায় উত্তির্ন হবে, তার সাথেই আমার মেয়েকে বিবাহ দিয়ে পুরষ্কৃত করব।" এবং সবাইকে আগামীকাল সকালে উপস্থিত হতে বললেন।
-
পরদিন যুবকরা সবাই হাজির হল। রাজা সবাইকে নিয়ে একটা নদীর তীরে গেলেন। নদীটা ছিল বেশ বড় এবং নদীতে ছিল প্রচন্ড স্রোত।
রাজা বললেন.. "আমার হাতে যে আংটিটা তোমরা দেখছো, এই আংটির গায়ে আমার মেয়ের ছবি আঁকা আছে, এই আংটিটা আমি এখন এই নদীতে ফেলবো। যে এই আংটিটা আজ সন্ধ্যার মধ্যে তুলে এনে দিতে পারবে, তার সাথেই আমার মেয়ের বিবাহ দিব।"
এই বলে আংটিটি নদীতে ফেলে দিয়ে রাজা দরবারে চলে গেলেন।।
-
সব যুবকেরা সাথে সাথে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ল। রাজকন্যা বলে কথা.!
সারাদিন অনেক কষ্ট করলো যুবকরা, কিন্তু এত খুঁজাখুঁজি করেও কেউ আংটিটা পেলনা।
-
সবাই দরবারে হাজির হল, রাজা কি বলেন, তাই শুনতে!
রাজা খুবই হতাশ হলেন এবং কষ্ট পেলেন আর ভাবতে লাগলেন..
"আমার মেয়েকে আমি কি জবাব দিব?"
-
এমন সময় দরবারে হাজির হল এক রাখাল যুবক, যে সারাদিন মাঠে কাজ করে।
রাখাল বলল.. "হুজুর এই সেই আংটি আমার হাতে।"
-
রাজা এবং দরবারের সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে পড়ল!! একমাত্র এই রাখাল যুবকটি ঐ আংটি খোঁজার প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করেনি। তাহলে সে কি করে পেল আংটিটি! সবাই মনে মনে তাই ভাবতে লাগলো!
-
রাজা আংটিটি হাতে নিয়ে পরখ করে দেখলেন! এবং বললেন "হ্যা সেই আংটিইতো.!"
রাজা বললেন.. "হে যুবক, শর্তমতে তোমার সাথেই আমার মেয়ের বিবাহ দিব, কিন্তু আমাকে বলো, কেমন করে তুমি প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন না করে আংটিটি পেলে? এটাতো অবিশ্বাস্য!"
-
তখন রাখাল যুবক বলল.."হজুর, আমি আল্লাহকে ভয় করি। আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি পুরষ্কৃত করলে আল্লাহই করবেন। তাই আমি আপনার পুরষ্কারের আশা করিনি। আমি জানি রাজকন্যাকে পাবার জন্য নদীতে আংটিটি খোঁজ করা মানে লোভের মধ্যে পড়ে যাওয়া। আমি আমার লোভকে দমন করেছি।
আমি যদি আজ মাঠে কাজ না করে সারাদিন আংটি খুঁজতাম, তাহলে আমার বাবা, মা, এবং ছোট বোন না খেয়ে থাকতো।
আমরা গরীব, দিন আনি দিন খাই। সব সময় হালাল উপার্জন করার চেষ্টা করি, হারাম স্পর্সও করিনা। তাই আমি প্রতিদিনের মত আজও কাজে যাই।
আমি আজ মাঠে কাজ করতে করতে যখন আসর নামাজের সময় হলো, আমি নদীতে যাই অজু করতে। অজু করার সময় হঠাৎ দেখি.. পানির নিচে একটা আংটি চকচক করছে,! আমি আংটিটা তুলে অবাক হই! দেখি রাজকন্যার ছবিযুক্ত সেই আংটিটা.! পানির স্রোতই আংটিটাকে এখানে নিয়ে এসেছে। আমি আসরের নামাজ শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই.. আল্লাহ চাইলে সব অসম্ভবই সম্ভব হতে পারে!"
-
রাখালের কথা শুনে সবার চোখে পানি চলে আসলো। রাখাল যুবকের সততার কথা শুনে রাজা কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বললেন.. "হে যুবক, তুমিই রাজকন্যার যোগ্য পাত্র। তোমার সততা এবং ধর্ম ভীরুতা দেখে সত্যিই আমি অবিভুত!
-
মোরাল অব দা ষ্টোরী...
" আল্লাহ যাকে দেবার তাকে ঠিকই দেয়।
শুধু সঠিক ভাবে আল্লাহর পথে চলতে হয়।
"আমি একজন সাহসী ও পরিশ্রমী যুবক চাই, যার সাথে আমার মেয়েকে বিবাহ দিব।"
রাজার মেয়ে ছিলেন নিখুঁত সুন্দরী। যেকোনো যুবক রাজকন্যাকে পাবার জন্য পাগল হবেই।
সবাই বলল..." আমি সাহসী, আমি পরিশ্রমী.."
-
রাজা চিন্তায় পড়ে গেলেন! ভেবে চিন্তে ঘোষনা করলেন "আগামীকাল তোমাদের সকলের পরীক্ষা নেয়া হবে। যে পরীক্ষায় উত্তির্ন হবে, তার সাথেই আমার মেয়েকে বিবাহ দিয়ে পুরষ্কৃত করব।" এবং সবাইকে আগামীকাল সকালে উপস্থিত হতে বললেন।
-
পরদিন যুবকরা সবাই হাজির হল। রাজা সবাইকে নিয়ে একটা নদীর তীরে গেলেন। নদীটা ছিল বেশ বড় এবং নদীতে ছিল প্রচন্ড স্রোত।
রাজা বললেন.. "আমার হাতে যে আংটিটা তোমরা দেখছো, এই আংটির গায়ে আমার মেয়ের ছবি আঁকা আছে, এই আংটিটা আমি এখন এই নদীতে ফেলবো। যে এই আংটিটা আজ সন্ধ্যার মধ্যে তুলে এনে দিতে পারবে, তার সাথেই আমার মেয়ের বিবাহ দিব।"
এই বলে আংটিটি নদীতে ফেলে দিয়ে রাজা দরবারে চলে গেলেন।।
-
সব যুবকেরা সাথে সাথে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ল। রাজকন্যা বলে কথা.!
সারাদিন অনেক কষ্ট করলো যুবকরা, কিন্তু এত খুঁজাখুঁজি করেও কেউ আংটিটা পেলনা।
-
সবাই দরবারে হাজির হল, রাজা কি বলেন, তাই শুনতে!
রাজা খুবই হতাশ হলেন এবং কষ্ট পেলেন আর ভাবতে লাগলেন..
"আমার মেয়েকে আমি কি জবাব দিব?"
-
এমন সময় দরবারে হাজির হল এক রাখাল যুবক, যে সারাদিন মাঠে কাজ করে।
রাখাল বলল.. "হুজুর এই সেই আংটি আমার হাতে।"
-
রাজা এবং দরবারের সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে পড়ল!! একমাত্র এই রাখাল যুবকটি ঐ আংটি খোঁজার প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করেনি। তাহলে সে কি করে পেল আংটিটি! সবাই মনে মনে তাই ভাবতে লাগলো!
-
রাজা আংটিটি হাতে নিয়ে পরখ করে দেখলেন! এবং বললেন "হ্যা সেই আংটিইতো.!"
রাজা বললেন.. "হে যুবক, শর্তমতে তোমার সাথেই আমার মেয়ের বিবাহ দিব, কিন্তু আমাকে বলো, কেমন করে তুমি প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন না করে আংটিটি পেলে? এটাতো অবিশ্বাস্য!"
-
তখন রাখাল যুবক বলল.."হজুর, আমি আল্লাহকে ভয় করি। আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি পুরষ্কৃত করলে আল্লাহই করবেন। তাই আমি আপনার পুরষ্কারের আশা করিনি। আমি জানি রাজকন্যাকে পাবার জন্য নদীতে আংটিটি খোঁজ করা মানে লোভের মধ্যে পড়ে যাওয়া। আমি আমার লোভকে দমন করেছি।
আমি যদি আজ মাঠে কাজ না করে সারাদিন আংটি খুঁজতাম, তাহলে আমার বাবা, মা, এবং ছোট বোন না খেয়ে থাকতো।
আমরা গরীব, দিন আনি দিন খাই। সব সময় হালাল উপার্জন করার চেষ্টা করি, হারাম স্পর্সও করিনা। তাই আমি প্রতিদিনের মত আজও কাজে যাই।
আমি আজ মাঠে কাজ করতে করতে যখন আসর নামাজের সময় হলো, আমি নদীতে যাই অজু করতে। অজু করার সময় হঠাৎ দেখি.. পানির নিচে একটা আংটি চকচক করছে,! আমি আংটিটা তুলে অবাক হই! দেখি রাজকন্যার ছবিযুক্ত সেই আংটিটা.! পানির স্রোতই আংটিটাকে এখানে নিয়ে এসেছে। আমি আসরের নামাজ শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই.. আল্লাহ চাইলে সব অসম্ভবই সম্ভব হতে পারে!"
-
রাখালের কথা শুনে সবার চোখে পানি চলে আসলো। রাখাল যুবকের সততার কথা শুনে রাজা কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বললেন.. "হে যুবক, তুমিই রাজকন্যার যোগ্য পাত্র। তোমার সততা এবং ধর্ম ভীরুতা দেখে সত্যিই আমি অবিভুত!
-
মোরাল অব দা ষ্টোরী...
" আল্লাহ যাকে দেবার তাকে ঠিকই দেয়।
শুধু সঠিক ভাবে আল্লাহর পথে চলতে হয়।